যে কোন নোটিশ দেখতে ক্লিক করুনঃ
ইতিহাস
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
চট্টগ্রাম জেলাধীন সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত পুরানগড়
একটি সমৃদ্ধ জনপথ। এইগ্রামে প্রায় ৩০,০০০ লোকের বাস। গ্রামের একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয় পুরানগড় শাহ্ সরফুদ্দী উচ্চ বিদ্যালয়। সবুজ বনবনানী সমৃদ্ধ ছায়া সেবা পাখি ডাকা একটি শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ অবসিৃত এই বিদ্যালয়টি ১৯৫৫ ইংরেজি হতে বৃহত্তর পুরানগড় এলাকায় শিক্ষার জ্যোতি ছড়িয়ে দিচ্ছে।বাজালিয়া – শৌলঘাটা সড়কের বাজালিয়া হতে ০৪ কিলোমিটার উত্তরে হযরত শাহ সরফুদ্দীন (রাঃ) এর মাজার শরীফ। তাঁরই পার্শ্বে সাঙ্গুনদীর পূর্বতীর ঘেষে প্রচন্ড খেলার মাঠ সম্পদ অত্র বিদ্যালয়টি।
পূর্বকথা :(জুনিয়র স্কুল হিসেবে)
অবস্থান: পুরাণগড় নতুনহাট সংলগ্ন
জায়গার পরিমান: ২৯শতক
জমী দাতা: যতীন্ত্র লাল সিকদার
স্থাপিত: ১৯৫৫ ইং
বিদ্যালয় অঙ্গুন: বাঁশের বেড়া ও ছনের ছাউনী
পূর্বনাম: পুরানগড় জুনিয়র হাইস্কুল
সময়কাল: ১৯৫৫ সাল -১৯৭২ সাল পর্যšÍ
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে রেজিষ্ট্রেশন করে এস.এস.সি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেত।
বর্তমান কথা: বিদ্যালয়ের নাম: পুরানগড় শাহ্ সরফুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থান: শাহ্সরফুদ্দীন মাজার সংল্গন কথেক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩-১৯৭৪ এ শিক্ষার্থীরা প্রথম এস.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ১৯৭৫ ইং সালে প্রথম সুযোগ অর্জন করে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের সর্বমোট জমির পরিমাণ ০১একর ৩৩শতক। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ভাল আছে ভৌত অবকাঠামো গত কিছু অন্তরায়। সবদিক দিয়ে বিবেচনায় বিদ্যালয়টি অগ্রগামী ও কৃতিত্বের দাবিদার। সময়কাল: ১৯৫৫ সাল-১৯৭২ সাল পর্যন্ত
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন করে এস.এস.সি পরীক্ষার দেওয়ার সুযোগ পেত।
বর্তমান নামকরণ: পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারক ৩৬০ আউরিয়ার শিরেমনী হযরত শাহজালাল সিলেটা ইয়েমেনী(রাঃ) সহযোদ্ধা হযরত শাহ্ সরফুদ্দীন আউলিয়া বিহার (রাঃ) স্মৃতি বিজড়িত একটি নাম পুরানগড় শাহ্ সরফুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের এই মহান নামটি প্রস্তাব করেন তৎকালীন বিদ্যালয়ের এক সাধারণ অধিবেশনে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মফজল আহমদ চৌং। মহান ধর্ম প্রচারক হযরত শাহ্ সরফুদ্দীন (রাঃ) নামে বিদ্যালয় নতুন নাম আসার কারণে উপস্থিত সম্মানিত সদস্যগণ একমত পোষণ করেন এবং তা সর্বসম্মতি ক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। বিদ্যালয়ের পরিবর্তিত নাম হলো পুরানগড় শাহ্ সরফুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়। মাধ্যমিক নামকরণের তারিখ ১.১১৯৭৪
এই ভাবে কয়েক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এস.এস.সি পরীক্ষার দেওয়ার অনুমতি লাভ করে শিক্ষাবর্ষ -১৯৭৩-১৯৭৪ এ। শিক্ষার্থীরা প্রথম এস.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ১৯৭৫ ইং তে প্রথম সুযোগ অর্জন করে। এরপর ১৯৭৬ ইং হতে অদ্যাবধী-শিক্ষার্থীরা এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে প্রতিবৎসর কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে।বর্তমান বিদ্যালয়ের ফলাফল উত্তম । ঝ.ঝ.ঈ এবং ঔ.ঝ.ঈ উভয় পাবলিক পরীক্ষায় সাতকানিয়া উপজেলার অত্র বিদ্যালয়টি একটি অগ্রগামি বিদ্যালয়ের দাবিদার। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলীঃ বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা একহাজার জনের কাছাকাছি। এম.পিও ভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। অফিস সহকারী ০১জন।কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ০১ জন। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি ০৫জন আছে একজন গ্রন্থগারিক এবং তিনজন খন্ডকালীন শিক্ষক। সুদক্ষ পরিচালনা কমিটি: অত্র বিদ্যালয় বিদ্যমান সুদক্ষ পরিচালনা কমিটি, যাদের সম্পূর্নসহযোগিতায় এবং শুভ দৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যালয়ের সম্মানিত দাতা সদস্যগন নিজস্ব অর্থায়নে উতিমধ্যে অবকাঠামোগত সমস্যার ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। অদুর ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তনের আশা করা যায়।
বিদ্যালয়ের বর্তমান জমির পরিমাণ: সম্মানীত জমিদাতা সদস্যগনের অপরিসীম ত্যাগ ও সার্বজনীন শিক্ষার মান বৃদ্ধির কথা কে না জানে? বর্তমান বিদ্যালয়ের সর্বমোট জমির পরিমাণ ০১ একক ৩৩ শতক। ভবিষ্যতে আর ও জমি বৃদ্ধির প্রচুর সম্ভবনা বিদ্যমান।
ফলাফল: বিদ্যালয়টি উত্তর সাতকানিয়া নিভৃত পল্লীতে আবিস্কৃত হওয়া সত্তে¡ ও বিদ্যালয়টি প্রতিবৎসর সন্তোষজনক ফলাফল উপহার দিচ্ছে । আরও উন্নততর ফলাফলের লক্ষ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ এবং বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক / শিক্ষিকা মন্ডলী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
অন্তরায়: নানা সম্ভাবনা থাকা সত্তে¡ও বিদ্যালয়টির রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষক স্বল্পতা, শ্রেণিক্ষ নির্মাণ, সীমানাপ্রচীর নির্মাণ, বিদ্যালয়ের গেইট নির্মাণ। একটি উন্নত পাঠাগার নির্মাণ, একটি আধুনিক বিজ্ঞানাগার নির্মাণ ও মসজিদ নির্মাণ অতীব প্রয়োজন। সাধ থাকলেও সাধের সীমাবদ্ধতায় বিদ্যালয়টি বর্তমানে অবকাঠামগত অনেক সমস্যায় জর্জরিত। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের শুভদৃষ্টির কলশ্রæতি স্বরুপ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও শিক্ষামন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তিবর্গের উদার হস্ত – প্রসারে উপরোক্ত সমস্যা সমাধানের- সবিনয় প্রত্যাশা আমাদের।
।